শাহরাস্তিতে অসহায় আমিরেন্নেছা (৬৫) চোখের আলো ফিরে পেতে চায়। তিনি শাহরাস্তি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সোনাপুর গ্রামের দীঘিপাড়ের বাসিন্দা। তার স্বামী মরহুম আবদুল মতিন মারা গেছেন ৯ বছর আগে। আমিরেন্নেছার ৬ মেয়ে ও ১ ছেলে। অন্যের দানে ইতিমধ্যে ছয় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি ছেলের সংসারে বসবাস করেন। আমিরেন্নেছাসহ ছেলের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৮জন। একমাত্র ছেলে আবদুর রহিম ভাড়ায় অন্যের অটো চালিয়ে ৮ সদস্যের পরিবারের মুখে অন্য তুলে দেন। ছেলের আয়ে পরিবারের সকলের মুখে ভাত তুলে দেয়া তার জন্য বড় কঠিন। সে কারনে অনেক সময় অনাহারে অধ্যাহারে থাকতে হয় পরিবারের সবার। তাই অসহায় মায়ের চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না ছেলে রহিমের। মহামারী করোনাভাইরাসের কারনে অটো চালানোর আয়েও ভাটা পড়েছে।
অসহায় আমিরেন্নেছা ২ চোখেই একই সাথে সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। ২ বছর আগে অন্যের সহায়তায় ডান চোখে ল্যান্স বসিয়েছেন। এখন বাম চোখে কিছুই দেখেন না। বাম চোখ থেকে সব সময় পানি পড়ে। চিকিৎকরা পরামর্শ দিয়েছেন অতিসত্ত¡র বাম চোখে ল্যান্স বসানো না হলে ডান চোখের সমুহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তার বাম চোখে ল্যান্স লাগানো প্রয়োজন। কিন্তু ল্যান্স লাগানোর মতো কোনো টাকা-পয়সা তার নেই। তাই তিনি চোখে ল্যান্স বসানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।
এদিকে, স্বামী মৃত্যুকালে একটি টিনের ঘর রেখে গেছেন। যা জরাজীর্ণ। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দিনে এক পশলা বৃষ্টি হলেই ঘরে বৃষ্টির পানিতে ঢেউ খেলে। সারারাত বসে থেকে নির্ঘুম রাত জড়োসড়ো হয়ে কাটাতে হয়। বছর কয়েক আগে বাড়ির উঠোনে পড়ে পা ভেঙ্গে ফেলে আমিরেন্নেছা। এখন কোনো রকমে ক্র্যাচে ভর দিয়ে চলা-ফেরা করেন। অনাহারে-অর্ধাহারের কারনে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। সুস্থ থাকা অবস্থায় অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেও স্বামী জীবিত থাকাকালে তার মজুরীতে কাটতো তার সংসার। এখন হাঁটা-চলা প্রায় বন্ধ। অন্যের বাড়িতে কাজ করার মতো গায়ে আগের সেই শক্তি সামর্থ তার নেই। বিভিন্ন অসুখের কারনে প্রতিদিন ঔষধ খেতে হয়। ঔষধ বাবদ মাসে ৫ হাজারের বেশি টাকা লাগে। টাকার যোগাড় করতে না পারলে ঔষুধ ছাড়াই কাটে তার দিন। বর্তমান সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় বয়স্কভাতা পান তিনি। যা তার প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য।
এমতাবস্থায়, অসহায় আমিরেন্নেছা চোখের চিকিৎসা করে সুন্দর পৃথিবী দেখতে চান। তাই তিনি সমাজের বিত্তবানদের নিকট সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। যদি কেউ তাকে আর্থিক সহায়তা করেন, তবে চোখের চিকিৎসা করে সুন্দর পৃথিবীতে তিনি আরো কিছুকাল বেঁচে থাকতে পারবেন।
কেউ সহায়তা করতে চান তবে তার ছেলে রহিমের বিকাশ (০১৭৫৮৫৯৪৫৪৩) নাম্বারে পাঠাতে পারেন।
Las Vegas (NV) casino - DrMCD
ReplyDeleteA 공주 출장샵 new $2.6 billion project in the 대전광역 출장마사지 new Las Vegas resort will make 성남 출장샵 Vegas' old-school gambling the 고양 출장샵 $1.6 billion site will be known as 김천 출장샵 The Cosmopolitan of Las Vegas